মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবসে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে সকালে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এরপরেই জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে সৌধপ্রাঙ্গণ।
জনসাধারণের পাশাপাশি প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে শহীদ বেদীতে ফুল দিতে এসেছে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের একটি দল।
শনিবার (২৬ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার পরই হুইল চেয়ারে করে নারী ও শিশুসহ ১৩ জন শহীদ বেদীতে এসে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসতে পেরে তাদের মুখে হাস্যোজ্জ্বল প্রশান্তির ছাপ লক্ষ্য করা গেছে। যেন এক মুহূর্তের জন্য তারা ভুলে গিয়েছিল, হুইল চেয়ার তাদের পরাধীন করে রেখেছে। মনে হয়েছে তারা স্বাধীন।
প্রতি বছর পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রের উদ্যোগে তার প্রতিষ্ঠানেই থাকা কিছু বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জাতীয় স্মৃতিসৌধ আনা হয়। এবারও প্রতিষ্ঠানটি তাদের নিয়ে এসেছেন।
১৩ জনের সাথে ফুল দিতে আসা শারীরিক প্রতিবন্ধী তনন কুণ্ড জয় বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য বীর শহিদরা নিজেদের উজাড় করে দিয়েছিল। অনেকে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ হাত-পা কিংবা সম্ভ্রম হারিয়েছেন। আমাদের শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধকতা আছে। শুধু এই প্রতিবন্ধকতার কারণে যদি আমরা শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে কার্পণ্য করি তাহলে সেটা শহিদের রক্তের সাথে বেইমানি করা হবে।
হুইল চেয়ারে বসে থাকা আরেকজন রুবেল তালুকদার বলেন, প্রতিবছরে আমাদের মত প্রতিবন্ধী কেউ না কেউ এই স্মৃতি সৌধে শহিদের শ্রদ্ধা জানাতে আসেন। এবার আমিও এসেছি। অনেকদিনের ইচ্ছা ছিলো এখানে আসার। দেশের বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পেরে আমি প্রশান্তি অনুভব করছি।
সিআরপির সমাজ কল্যাণ বিভাগের প্রধান মো. শফিউল্লাহ বলেন, আপনারা অনেকেই জানেন আমাদের প্রতিষ্ঠান প্রতিবন্ধীদের নিয়েই কাজ করে। প্রতিবন্ধীদের মধ্যে অনেকেই জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসতে চায়। আর প্রতিবছর কিছু সংখ্যক ব্যক্তিকেই এখানে আনা হয়। আমরা অনেকে শিশুকেও এখানে এনে থাকি যেন তারা মুক্তিযুদ্ধের আসল ইতিহাস জানতে পারে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।